নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০শে জানুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার সাত ভাই পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়া প্রতারক মোহাম্মদ আলীকেসহ দলিল লেখক রনি মোল্লাকে অপহরণ মামলায় গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ইউরোপের দেশ ডেনমারকে লোক পাঠাবেন বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন রনি মোল্লা। রনি মোল্লা যাদের মাধ্যমে ইউরোপে লোক পাঠাবেন তারা হলেন মোহাম্মদ শরীফ তার বাসা সোনারগা থানার পিছনে সাং ভবনাথপুর তার পিতা ইউনুস আলী হাওলাদার অন্য আরেকজন হলেন মোহাম্মদ আলী ঢাকা শ্যামপুর থাকেন মদনপুর চাঁনপুর গ্রামে । তিনি লোক কালেকশন করে টাকা জমা দিতেন শরীফের কাছে। শরিফ ৩কোটি ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে গাঁ ডাকা দিয়েছেন। রনি মোল্লা এলাকার ১৩ জন লোক থেকে৭৩ লক্ষ টাকা নিয়ে মোহাম্মদ আলী ও শরীফের কাছে দিয়েছেন। তাদের কোন খোঁজ খবর না পাওয়াতে রনি মোল্লা গত শনিবার ২৫ শে জানুয়ারি মাউতাইল একটি ডায়গনিক সেন্টার থেকে টাকা উদ্ধারে মোহাম্মদ আলীকে ধরে নিয়ে আসেন তার বাড়িতে। মোহাম্মদ আলীকে ছয়দিন যাবৎ আটক রেখেছেন রনি মোল্লা তার নিজ বাড়িতে।
৬ দিন যাবত মোহাম্মদ আলীকে না পেয়ে তার স্ত্রী সোনারগাঁ থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়াপাড়া গ্রাম রনি মোল্লার বাড়ি থেকে মোহাম্মদ আলীকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ থানায় হেফাজতে রাখেন।
মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে পিস্তল ঠেঁকিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এবং ছয়দিন যাবত আমাকে আটকে রেখে তার বাড়িতে রুহুল আমিন নামে এক লোক আমার উপর বিভিন্ন নির্যাতন ও অত্যাচার চালিয়েছে। টাকা পয়সা আমি নিয়ে শরীফ ভাইয়ের কাছে দিয়েছি। শরিফ ভাই কোথায় আছে এখন আমি কিছুই জানিনা।
৭৩ লক্ষ টাকা উদ্ধারে মোহাম্মদ আলীকে তার নিজ বাড়িতে আটক রেখে ফেঁসে গেলেন দলিল লেখক রনি মোল্লা। তিনি বলেন, এসব বাটপারদেরকে পুলিশে দিলে, ছাড়া পেয়ে যাবে, সেই জন্য আমি চেষ্টা করেছি তাকে আটকিয়ে রেখে, টাকা উদ্ধার করা যায় কিনা। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি হিতে বিপরীত হয়ে যাবে?তিনি আরো বলেন, টাকা উদ্ধার করতে না পারলে আমার কি হবে? আমি কি করবো? আমি আমার লোকজনদেরকে কিভাবে টাকা দিব? আমার তো মরন ছাড়া উপায় নাই।
পরদিন সোনারগাঁ থানা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ মামলা রুজু করে রনি মোল্লাসহ তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছেন।