নিজস্ব প্রতিবেদক
সোনারগাঁ উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভায় মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ পৌরবাসী পদক্ষেপ নেওয়ার নেই কোন উদ্যোগ। তেমনি মশার যন্ত্রণায় সোনারগাঁও পৌরসভা নগর জীবন আরও বেশি যন্ত্রণাদায়ক। মশা বিস্তারের কিছু কারণ হচ্ছে, যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা? নালা, নর্দমা ঠিকমতো ও যথাসময়ে পরিষ্কার না করার কারণে মশার বংশবিস্তার আরও বেশি হয়ে থাকে। খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁর পেছনে উচ্ছিষ্ট খাবার ডাকনাযুক্ত ডাস্টবিন পাত্রে না রেখে খোলামেলা স্থানে ফেলে রাখা। ফুলের টপ, ডাবের খোসা ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের দূষিত ডাইং এর পানি জমে থাকা এবং জলবদ্ধতা বাড়ি বা বাসার আশপাশের অপরিষ্কার ও পরিচর্যাহীন ঝোপঝাঁড় মশার বংশবিস্তারের অন্যতম কারণ।
তাছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন খাল ও নালায় জমে থাকা দূষিত ডাইং এর পানিতে এডিশ মশার বংশ বিস্তার ঘটে থাকে। মশার কামড়ে ডেঙ্গু, জ্বর, ম্যালেরিয়া ও নানা উপসর্গ দেখা দেয়। পৌরসভা কর্তৃক যথাসময়ে ময়লা-আবর্জনা, ড্রেন ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজে বিলম্ব হলে মশার বংশবিস্তার আরও প্রকট আকার ধারণ করে। এতে করে মশার উপদ্রব আরও বেড়ে যায়।
মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রাতে মশার কয়েল জ্বালানোর ধোঁয়া, স্প্রে এসব ব্যবহার করলেও এগুলো শিশুদের জন্য ও শ্বাসকষ্ট রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমনকি ধোঁয়া ও স্প্রে সহ্য করতে না পারলে বড়দের জন্যও ক্ষতিকর থেকে সাময়িকভাবে কাশি সৃষ্টি হয়। এর কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। তাছাড়া খাওয়ার সময়, পড়ার সময়, কোথাও বসে আড্ডা দেওয়ার সময় তো আর মশারি ব্যবহার করা যায় না। এজন্য মশার প্রকোপ কমানো ও বংশবিস্তার রোধে স্থায়ী সমাধান চায় সোনারগাঁও পৌরবাসি,
স্থানীয় একাধিক পৌরবাসী জানান, বাসাবাড়ি থেকে অফিস ও রাস্তা-ঘাটে, দোকান-পাটে কোথাও বসতে পারি না, কোথাও দাঁড়াতে পারি না, আড্ডা দিতে পারি না, পাঁচ মিনিটের জন্য। এর মধ্যে ১০-২০টা মশা কামড় দিয়ে রক্তচোষে নেয়। ঘরে বাইরে সব জায়গায় মশা আর মশা।
এ বিষয়ে অর্জন্দী গ্রামের বাবু বলেন আমাদের পৌরসভা থেকে মশা নিধন বা স্প্রে এর জন্য কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়নি,
একাধিক পৌরবাসি বলেন পৌরসভা এবং মিউনিসিপালিটি কর্তৃক মশা নিধন স্প্রে ব্যবহার ব্যাপক হাড়ে বাড়াতে হবে। সে সাথে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই মশার উপদ্রব থেকে অনেকটা রক্ষা পাবো। এবিষয়ে সোনারগাঁও পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে ব্যাপকভাবে উদ্যোগ নিয়েছি এবং মশা নিধনের জন্য ভালোমানের কেমিক্যালের ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছি। যার মাধ্যমে পৌরবাসীকে স্বস্তি দেওয়া যায় এবং এডিস মশা ও মশাবাহিত রোগ থেকে যাতে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।