নিজস্ব প্রতিবেদক।
নারায়ণগঞ্জের আষাড়ি চর এলাকায় আবারও সরকারি খাস জমি দখল ও নদী ভরাটের অভিযোগ উঠেছে আল মোস্তফা গ্রুপের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাসেল (৩০), পিতা হামিদুল্লাহ এবং ইয়া নবীর (৪০), পিতা আব্দুল কাদিরের নেতৃত্বে আল মোস্তফা গ্রুপের মালিক প্রভাব খাটিয়ে আষাঢ়িয়ারচর এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডের পাশে ব্রিজের নিচের অংশের সরকারি খাস জমি দখলের উদ্দেশ্যে নদী ভরাট করে নিচ্ছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, গত কয়েকদিন ধরে রাতের অন্ধকারে ব্রেজারের মাধ্যমে মাটি ফেলে নদী ভরাটের কাজ চালাচ্ছে এই চক্র। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, যারা এই দখল প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, তাদের ওপর নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে আল মোস্তফা গ্রুপের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। পাশের বসতবাড়ির মানুষজনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল জানান,মেঘনা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় যেসব খাসের জমিগুলো রয়েছে সেই জমিগুলির উপর দখলদারিত্ব করে হাতিয়ে নিয়েছেন আল মোস্তফা গ্রুপ। তার বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অর্থের মাধ্যমে আঁতাত করে সরকারি জায়গা দখল করে নিচ্ছেন। এতে প্রশাসন নিরব ভূমিকায় অবস্থান করছেন। সরকারি খাস জমি দখল ও নদী ভরাট সম্পূর্ণ অবৈধ কাজ। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই ধরনের কর্মকাণ্ড দিনদিন বেড়ে চলছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করে বিএনপি নেতা আবদুল জলিল বলেন, আমি পবিত্র ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় ছিলাম। আমি এলাকায় না থাকায় আল মোস্তফা কিছু লোকদের আতাত করে এই নদী ভরাট করে দখল করেছে। কিন্তু আমার নামে নিউজ হয়েছে আমি নাকি এই কাজের সাথে জড়িত রয়েছি।আসলে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি সাংবাদিক ভাইদের আহ্বান করছি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্য নিউজ প্রকাশ করেন। তিনি আরো দাবি করেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নদী ও সরকারি খাস জমি রক্ষা করা হোক, নইলে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।