নিজস্ব প্রতিবেদক

এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্ট  স্হায়ী বাতিলের দাবিতে এবং নবায়নযোগ্য পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোতে বিনিয়োগ করার দাবিতে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন( জাদুঘর) পার্কিং এরিয়ার ভিতরে  যৌথভাবে মানববন্ধন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি,  ক্লিন (CLEAN), এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED)।

বৃস্পতিবার (২৮নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের মেইন গেইটের সামনে  মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, মহাসচিব মীযানুর রহমান,রাসেল আহমেদ, হৃদয় হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন এলএনজি প্রকল্প স্থায়ীভাবে  সম্প্রতি সাময়িকভাবে স্থগিত করা ১২টি এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং দুটি টার্মিনাল প্রকল্প স্থায়ীভাবে বাতিল করার জাতীয় দাবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সংগঠনটি উল্লেখ করেছে যে এলএনজি, একটি দূষণকারী জীবাশ্ম জ্বালানি, বাংলাদেশের জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা এবং জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে।

“এলএনজি আমাদেরকে দীর্ঘমেয়াদী কার্বন নিঃসরণ এবং আর্থিক অস্থিতিশীলতার ফাঁদে জবসাধারনদেরকে ফেলবে।” “নারায়ণগঞ্জসহ পুরো দেশের জন্য এমন নবায়নযোগ্য শক্তি প্রয়োজন, যা পরিবেশ ও স্থানীয় জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।”

নাগরিকেরা জোর দিয়ে বলেছে, নবায়নযোগ্য শক্তি, যেমন সোলার ও বায়ুশক্তি, কেবল পরিবেশ বান্ধবই নয় বরং দীর্ঘমেয়াদে আরও সাশ্রয়ী এবং টেকসই। পরিচ্ছন্ন শক্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার আন্তর্জাতিক জলবায়ু চুক্তি রক্ষা করতে পারবে এবং একই সঙ্গে জ্বালানি স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারবে।

এই প্রচার অভিযানটি পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি, ক্লিন (CLEAN), এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED) এর উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যে এলএনজি প্রকল্প স্থায়ীভাবে বাতিল করে বাংলাদেশ যেন নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
“বাংলাদেশের জন্য এখনই সময় পরিচ্ছন্ন শক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানোর।”

“এটি শুধু দেশের পরিবেশ রক্ষা নয়, বরং একটি জলবায়ু সহনশীল এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।”

এই ক্যাম্পেইনটি নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের জরুরিতা তুলে ধরে, যা জনস্বাস্থ্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অপরিহার্য।