নিজস্ব প্রতিনিধি :
বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি—মাদকাসক্তি। দেশের শহর থেকে গ্রাম, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নগরকেন্দ্র—যুবসমাজের একটি বড় অংশ ধীরে ধীরে মাদকের ভয়াল ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো পরিবার, সমাজ এবং জাতির ভবিষ্যৎ। এই অন্ধকার সময়েই আশার আলো হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন লন্ডনপ্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রেনেসা ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান।
মাদক: এক নীরব ঘাতক বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মাদক ব্যবহার করে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণরা। ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক দ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে ভয়াবহভাবে বাড়ছে মাদক আসক্তির মাত্রা। একদিকে নৈতিক অবক্ষয়, অন্যদিকে অপরাধপ্রবণতা এবং মানসিক বিকারগ্রস্ততা; সব মিলিয়ে যুবসমাজের ভবিষ্যৎ আজ চরম হুমকির মুখে।
খেলাধুলা: মাদক থেকে মুক্তির কার্যকর পথ এই অন্ধকার পরিস্থিতিতে খেলাধুলা হতে পারে যুবসমাজকে রক্ষা করার অন্যতম হাতিয়ার। খেলাধুলা শুধু শরীরচর্চা নয়, এটি মননশীলতা, নেতৃত্বের গুণাবলি এবং দায়িত্বশীলতা গড়ে তোলে। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, নিয়মিত খেলাধুলায় যুক্ত তরুণদের মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ, সময়জ্ঞান এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়—যা তাদের মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
মোঃ আতাউর রহমান: যিনি দেখাচ্ছেন ভিন্ন এক পথ মোঃ আতাউর রহমান, একজন লন্ডন প্রবাসী, যিনি নিজের দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে গড়ে তুলেছেন “রেনেসা ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন”। এ ফাউন্ডেশনটি নিয়মিতভাবে যুবকদের জন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সচেতনতামূলক সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে যাচ্ছে।
মোঃ আতাউর রহমান তিনি বলেন: “মাদক থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে হলে আমাদের খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমি চাই, আমাদের তরুণেরা মাঠে খেলুক, মাদক নয়। এজন্য আমি দেশে আরও বেশি ক্রীড়া অবকাঠামো গড়ে তুলতে চাই।”
তিনি আরও জানান, তাঁর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, যুবসংগঠনকে সহযোগিতা, এবং নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া মাদকবিরোধী নাটক ও পথনাট্য পরিবেশনের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মোঃ আতাউর রহমান জানান, রেনেসা ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য হচ্ছে—প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত একটি করে “ইয়ুথ একটিভিটি সেন্টার” গড়ে তোলা, যেখানে খেলাধুলা, পাঠাগার, আইটি প্রশিক্ষণ এবং কাউন্সেলিং সেবা থাকবে। তিনি বিশ্বাস করেন, যুবসমাজকে সঠিক পথে আনতে হলে শুধু শাস্তি নয়, প্রয়োজন সুযোগ ও সহানুভূতি।
যেখানে মাদকাসক্তি প্রতিদিন কেড়ে নিচ্ছে অগণিত সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণ, সেখানে একজন মোঃ আতাউর রহমানের মতো সমাজদরদী মানুষদের এগিয়ে আসা নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। তার প্রচেষ্টা যদি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে আরও বিস্তৃত করা যায়, তবে মাদকমুক্ত, সুস্থ, শক্তিশালী একটি প্রজন্ম গড়ে তোলা অসম্ভব নয়।