নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ২২শে জুন রবিবার সকাল ১১:০০ঘটিকার  সময় সোনারগাঁও পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের অর্জুনদী গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক শ্রমিকের উপর  ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিলে তার সম্পূর্ণ শরীর  জ্বলসে যায়। সেই ঘটনার প্রধান আসামি আব্দুর রব মোল্লাকে ঘটনা ২৪ ঘন্টা না যেতেই তাকে সোনারগাঁ থানা পুলিশ আটক করে এবং তাকে ২৩শে জুন পর দিন সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলহাত হাজতে প্রেরণ করা হয়।

জানা যায়, অর্জুনদী গ্রামের মৃত তামিজ উদ্দিন মোল্লার  বড় ছেলে আব্দুর রব মোল্লার (৮০)সাথে প্রায় ৪০ বছর যাবত জায়গা -জমি ও একটি বিবাহ বন্ধনকে কেন্দ্র করে পারিবারিকভাবে ভাই বোন সকলের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল। এ নিয়ে কয়েকবার থানায় ও গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করলেও তা মীমাংসা হয়নি। সেই দ্বন্দের জেরে আব্দুর রব মোল্লা  সব সময় ভাই-বোনদের সাথে রাগান্বিত অবস্থায় থাকতেন। সেই কারণে পারিবারিকভাবে তাদের সাথে মিল মিশ না হওয়ায় এভাবেই চলছে তাদের জীবন সংসার।  ভাই-বোনদের সাথে মিলমিশ না হওয়ার  কারণে সুযোগ পেলেই সে ক্ষতি করার চেষ্টা করত। সেই সুযোগে আব্দুর রব মোল্লা তার ছোট ভাই পনির হোসেন মোল্লার  প্রতি আক্রোশ হয়ে কাজে বাধা না দিয়ে তার দিনমজুর শ্রমিক খোরশেদ আলম এর উপর তার দালানের ছাদ হইতে বালতি ভর্তি ফুটন্ত গরম পানি হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের উপর ঢেলে দেয়।  শ্রমিক খোরশেদ আলমের সম্পূর্ণ শরীর জ্বলসে  যায় এবং তার বড় ভাই আব্দুর রব মোল্লা  ক্ষিপ্ত হয়ে   আরেক বালতি পানি পনির মোল্লার উপর নিক্ষেপ করলে পনির মোল্লা দৌড়ে পালিয়ে যান। পনির মোলা এই ঘটনা দেখে হতভম্ব হয়ে যান।

পরবর্তীতে উপায়ান্তর না পেয়ে পনির  হোসেন মোল্লা  শ্রমিক খোরশেদ  আলমকে দ্রুত সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা  বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ঢাকায় রেফার্ড করেন।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী  তিনি এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
শ্রমিক খোরশেদ আলমের এই অবস্থায় দেখে এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে শ্রমিক খোরশেদ আলমের ছোট ভাই নুরুল হক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় আব্দুর রব মোল্লা(৮০) ও তার মেয়ে মুনিরা আক্তার মুন্নি(৪২) তাদের দুই জনকে আসামি করে  একটি মামলা দায়ের করেন। শ্রমিক খোরশেদ আলমের পিতা আবু সিদ্দিক মিয়া গ্রাম সোনারগাঁ পৌরসভার দরপত এলাকায়।
এই জগন্যাতম ঘটনার প্রধান আসামী আব্দুর রব মোল্লা সন্ধ্যার পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দরপত এলাকায় তাকে সাধারণ জনগণ আটক করে থানায় প্রেরণ করেন। থানা থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেল  হাজতে পাঠানো হয়।